বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের জন্য সচরাচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্নাবলি (FAQ)
ক. পটভূমি
১. বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতাধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। ফার্মেসী আইন ২০১৩ (বিশেষ বিধান) এর (ফার্মেসী অধ্যাদেশ) ১৯৭৬ ক্ষমতাবলে প্রতিষ্ঠিত।
— বাংলাদেশে ফার্মেসি শিক্ষা ও পেশা নিয়ন্ত্রণের একমাত্র নিয়ন্ত্রক সংস্থা (Regulatory Body)। ১৯৭৬ সালে ফার্মেসি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ফার্মেসিকে পেশাগত বিষয় এবং ফার্মাসিষ্টদেরকে পেশাজীবি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
— বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট (গ্রেড এ), ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট (গ্রেড বি) এবং ফার্মেসি টেকনিশিয়ানদের (গ্রেড সি) পেশাজীবি হিসেবে নিবন্ধন সনদ প্রদানসহ দেশে ফার্মেসি শিক্ষা ও পেশাকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
২. বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের অবস্থান কোথায়?
বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল রাহাত টাওয়ার (৪র্থ তলা) ১৪ লিংকরোড, পশ্চিম বাংলামোটর ঢাকা — ১০০০, বাংলাদেশ টেলিফোন: +৮৮—০২—৯৬৩২৭০৩, ৯৬৩২৭৪১ ফ্যাক্স: +৮৮—০২—৯৬৭৬৬০০ ই—মেইল: info@pcb.gov.bd ওয়েব: www.pcb.gov.bd |
৩. বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল অফিস সূচী (দিন ও সময়)?
— বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল ছুটির দিন ব্যতিত রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
খ. নিবন্ধীকরণ
খ (১) নতুন নিবন্ধন:
১. ঔষুধ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবি কারা?
- সাথে জড়িত পেশাজীবিদের তিনটি শ্রেনীতে বিভক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো:
ক. গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট (এ গ্রেড)
খ. ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট (বি গ্রেড)
গ. ফার্মেসি টেকনিশিয়ান (সি গ্রেড)।
২. গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট (এ গ্রেড) কারা?
- বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক অভিস্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসি বিষয়ে স্নাতক (বি.র্ফার্ম) ডিগ্রিধারী যে সকল ব্যক্তি বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল থেকে এ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধিত হয়েছে তারাই গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট ।
- নিবন্ধন সনদপত্র পেতে হলে গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্টদেরকে (এ গ্রেড) বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে আবেদন করতে হবে।
৩. ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট (বি গ্রেড) কারা?
- বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক অভিস্বীকৃত ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (IHT) হতে ডিপ্লোমা-ইন-ফার্মেসি ডিগ্রিধারী ব্যক্তিদের ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট (বি গ্রেড) হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।
- নিবন্ধন সনদপত্র পেতে হলে ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টদেরকে (বি গ্রেড) বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে আবেদন করতে হবে।
- মাধ্যমিক (এসএসসি) বা সমমানের পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানসহ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উর্ত্তীণ যে কেউ ডিপ্লোমা-ইন-ফার্মেসি কোর্স ভর্তি হতে পারে।
৪. ফার্মেসি টেকনিশিয়ান (সি গ্রেড) কারা?
- বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক পরিচালিত ফার্মেসি সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন কোর্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সে সকল ফার্মেসি টেকনিশিয়ান।
- মাধ্যমিক (এস.এস.সি) বা স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর, বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল ও বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি (বিসিডিএস) কর্তৃক যৌথভাবে পরিচালিত ত্রৈ-মাসিক ফার্মেসি সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন র্কোসের প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করার পর বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের অধীনে ফার্মেসি সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ফার্মেসি টেকনিশিয়ান হিসাবে নিবন্ধিত হওয়ার যোগ্য হবে।
৫. আমি কি নতুন নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারি? এর প্রক্রিয়া কি?
- গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট (এ গ্রেড), ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট (বি গ্রেড) এবং ফার্মেসি টেকনিশিয়ান (সি গ্রেড) এর নতুন নিবন্ধন, সনদপত্র সংগ্রহ এবং নবায়নের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
- আবেদনের পূর্বে অবশ্যই অনলাইনে আবেদনের সকল নির্দেশনাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
- বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল এর ওয়েবসাইটে (http://www.pcb.gov.bd) প্রদত্ত অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ট্যাবে এই নির্দেশনাবলী বর্ণিত রয়েছে।
- অথবা সরাসরি নিম্নলিখিত লিঙ্কটি ব্যবহার করে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন: https://pcbapps.com.bd/application/panel
- অনলাইন আবেদনের জন্য মূল সনদপত্রগুলির সত্যায়িত অনুলিপি স্ক্যান করে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণের সময় নির্দেশনা অনুযায়ী সংযুক্ত করতে হবে।
- স্ক্যানকৃত প্রতিটি ফাইল পিডিএফ (pdf) ফর্ম্যাটে এবং আকার/সাইজ ১ মেগাবাইটের চেয়ে ছোট হতে হবে।
- এ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্রাদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রধান/চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে।
- বি এবং সি ক্যাটাগরিতে নিবন্ধনের জন্য প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত হতে হবে।
- অনলাইনে সফলভাবে আবেদনের পর আবেদনকারীকে অবশ্যই আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যে সকল মূল সনদপত্র, নম্বরপত্র, প্রয়োজনীয় আনুসাঙ্গিক কাগজপত্রাদি এবং অনলাইনে আবেদনপত্রের মুদ্রিত অনুলিপি (প্রিন্টেড কপি) এবং ফি জমার রশিদ (পেমেন্ট রিসিপ্ট) নিয়ে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করতে হবে।
৬. নতুন নিবন্ধন পেতে কত সময় লাগে?
- প্রায় ১৫ (পনের) দিন।
৭. গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট (এ গ্রেড) হিসেবে নিবন্ধন সনদপত্রের আবেদনের সময় কি কি কাগজপত্র জমা দেওয়া আবশ্যক?
- গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট (এ গ্রেড) হিসেবে নিবন্ধন সনদপত্রের জন্য অনলাইনে (http://www.pcb.gov.bd/) আবেদন করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত ফি (অফেরতযোগ্য) প্রদান নিশ্চিত করা অবশ্যক।
- অনলাইনে আবেদনের সময় নিম্নলিখিত সনদপত্রের সত্যায়িত অনুলিপির (ফার্মেসি বিভাগের প্রধান/চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে) স্ক্যানকৃত পিডিএফ (PDF) ফাইল অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণের নির্দেশনা অনুযায়ী সংযুক্ত করতে হবে, তবে প্রতিটি ফাইলের আকার/সাইজ ১ মেগাবাইটের চেয়ে ছোট হতে হবে :
- এসএসসি সনদপত্র
- এসএসসি নম্বরপত্র
- এইচএসসি সনদপত্র
- এইচএসসি নম্বরপত্র
- বি.ফার্ম সনদপত্র
- বি.ফার্ম নম্বরপত্র
- ইন-প্ল্যান্ট প্রশিক্ষণ সনদপত্র
- জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম সনদপত্র
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের দুই (০২) কপি রঙিন ছবি (ল্যাব প্রিন্ট)
- অনলাইনে সফলভাবে আবেদনের পর আবেদনকারীকে অবশ্যই আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যে সকল মূল সনদপত্র, নম্বরপত্র, প্রয়োজনীয় আনুসাঙ্গিক কাগজপত্রাদি এবং অনলাইনে আবেদনপত্রের মুদ্রিত অনুলিপি (প্রিন্টেড কপি) এবং ফি জমার রশিদসহ (পেমেন্ট রিসিপ্ট) বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করতে হবে।
৮. ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট (বি গ্রেড) হিসেবে নিবন্ধন সনদপত্রের আবেদনের সময় কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন?
- ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট (বি গ্রেড) হিসেবে নিবন্ধন সনদপত্রের জন্য অনলাইনে (http://www.pcb.gov.bd/) আবেদন করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত ফি (অফেরতযোগ্য) প্রদান নিশ্চিত করা অবশ্যক।
- অনলাইনে আবেদনের সময় নিম্নলিখিত সনদপত্রের সত্যায়িত অনুলিপির (প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে) স্ক্যানকৃত পিডিএফ (PDF) ফাইল অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণের নির্দেশনা অনুযায়ী সংযুক্ত করতে হবে, তবে প্রতিটি ফাইলের আকার/সাইজ ১ মেগাবাইটের চেয়ে ছোট হতে হবে:
- এসএসসি সনদপত্র
- ডিপ্লোমা ইন-ফার্মেসি র্কোসের শিক্ষা সনদপত্র
- জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম সনদপত্র
- অনলাইনে সফলভাবে আবেদনের পর আবেদনকারীকে অবশ্যই আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যে সকল মূল সনদপত্র, নম্বরপত্র, প্রয়োজনীয় আনুসাঙ্গিক কাগজপত্রাদি এবং অনলাইনে আবেদনপত্রের মুদ্রিত অনুলিপি (প্রিন্টেড কপি) এবং ফি জমার রশিদসহ (পেমেন্ট রিসিপ্ট) বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করতে হবে।
৯. ফার্মেসি টেকনিশিয়ান (সি গ্রেড) হিসেবে নিবন্ধন সনদপত্রের আবেদনের সময় কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন?
- ফার্মেসি টেকনিশিয়ান (সি গ্রেড) হিসেবে নিবন্ধন সনদপত্রের জন্য অনলাইনে (http://www.pcb.gov.bd/) আবেদন করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত ফি (অফেরতযোগ্য) প্রদান নিশ্চিত করা অবশ্যক।
- অনলাইনে আবেদনের সময় নিম্নলিখিত সনদপত্রের সত্যায়িত অনুলিপির (প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে) স্ক্যানকৃত পিডিএফ (PDF) ফাইল অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণের নির্দেশনা অনুযায়ী সংযুক্ত করতে হবে, তবে প্রতিটি ফাইলের আকার/সাইজ ১ মেগাবাইটের চেয়ে ছোট হতে হবে:
- এসএসসি সনদপত্র
- ফার্মেসি সার্টিফিকেট রেজিষ্ট্রেশন পরীক্ষার প্রবেশপত্র
- জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম সনদপত্র
- ড্রাগ লাইসেন্সের অনুলিপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- অভিজ্ঞতার সনদপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আবেদনকারী নিজে ড্রাগ লাইসেন্সধারী হলে অভিজ্ঞতার সনদপত্রের প্রয়োজন নেই।
- অনলাইনে সফলভাবে আবেদনের পর আবেদনকারীকে অবশ্যই আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যে সকল মূল সনদপত্র ও প্রয়োজনীয় আনুসাঙ্গিক কাগজপত্রাদি এবং অনলাইনে আবেদনপত্রের মুদ্রিত অনুলিপি (প্রিন্টেড কপি) এবং ফি জমার রশিদসহ (পেমেন্ট রিসিপ্ট) বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করতে হবে।
১০. ফার্মেসি সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা কি?
- ফার্মেসি সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন কোর্সে তালিকাভুক্তির জন্য যোগ্যতাসমূহঃ
- বয়স ১৭-৫০ বছরের মধ্যে;
- মাধ্যমিক (এসএসসি) বা স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ;
- বৈধ ড্রাগ লাইসেন্সভূক্ত ফার্মেসীতে চাকুরীর অভিজ্ঞতা;
১১. ফার্মেসি সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন কোর্সে ভর্তির জন্য আমি কোথায় বা কার সাথে যোগাযোগ করব?
১২. ফার্মেসি সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন কোর্সের মেয়াদকাল কত?
- কোর্সের মেয়াদকাল তিন (০৩) মাস। নির্ধারিত মেয়াদকালে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে দুই দিন ক্লাস হয়ে থাকে।
১৩. ফার্মেসি সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করার পর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয় কি?
- হ্যাঁ
- ফার্মেসি টেকনিশিয়ান (সি গ্রেড) হিসেবে নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন পেতে উপরোক্ত পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হওয়া বাধ্যতামূলক।
-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় 'মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেন' (এমসিকিউ) ফর্ম্যাটে।
- পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে উক্ত পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীকে শতকরা ৫০ ভাগ নম্বর পেতে হয় ।
১৪. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কি আমি ফার্মেসি টেকনিশিয়ান (সি গ্রেড) এর নিবন্ধন সনদপত্র পাব?
- না, নিবন্ধন সনদপত্র পেতে হলে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হবে।
- ফার্মেসি সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত ফি (অফেরতযোগ্য) প্রদানের মাধ্যমে ফার্মেসি টেকনিশিয়ান (সি গ্রেড) নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
১৫. ফার্মেসি সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন কোর্সের কোর্স ফি কত?
১৬. রেজিস্ট্রেশন সনদের জন্য করা অনলাইন আবেদন বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক বাতিল, প্রত্যাহার বা অসম্পূর্ণ বলে প্রতীয়মান হলে নিবন্ধন ফি ফেরতযোগ্য হবে কী?
- না, ফি ফেরতযোগ্য নয়।
- বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক বাতিল, প্রত্যাহার বা অসম্পূর্ণ বলে প্রতীয়মান হওয়া রেজিস্ট্রেশন সনদের জন্য করা অনলাইন আবেদন ফিসহ পূর্বে প্রদানকৃত যেকোনো ফি অফেরতযোগ্য।
- অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্যযুক্ত সকল আবেদন বাতিল বলে গণ্য করা হবে।
১৭. আমি কীভাবে নিবন্ধন ফি প্রদান করতে পারি?
- বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল পোর্টালে নির্দেশিত মোবাইল/অনলাইন ব্যাংকিং বা ব্যাংক ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড এর যে কোনটির মাধ্যমে নিবন্ধন ফি প্রদান করা যাবে।
- উল্লেখ্য যে, আবেদনের ৭২ ঘন্টার মধ্যে ফি (অফেরতযোগ্য) প্রদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে, অন্যথায় আবেদন বাতিল হয়ে যাবে এবং পূরণকৃত সমস্ত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে র্পোটাল হতে মুছে যাবে।
১৮. আমি কীভাবে আমার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হতে পারব?
- আবেদনকারী বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের পোর্টালে তার নিজের প্রোফাইলে লগইন করে তার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হতে পারবে।
১৯. আমি রেজিস্ট্রেশন আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, সনদপত্র সংগ্রহের জন্য রেজিস্ট্রেশন রশিদ এবং নবায়নের জন্য মূল রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র কখন বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে জমা করব?
- অফিস চলাকালীন সময়ে সকাল ১১:০০ টা থেকে দুপুর ১:৩০ এর মধ্যে (রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য জমা দিতে হবে।
২০. আমি কি ডাক বিভাগ/কুরিয়ারের মাধ্যমে আমার নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র পেতে পারি?
- না, ডাক বিভাগ/কুরিয়ারের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র পাওয়া সম্ভব নয়।
- অফিস চলাকালীন সময়ে বেলা ২:০০ টা থেকে বিকাল ৪:০০ টার মধ্যে (রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র সংগ্রহ করতে হয়।
২১. আমি আমার ইন-প্ল্যান্ট প্রশিক্ষণ সনদপত্র হারিয়ে ফেলেছি। আমি কি রেজিস্ট্রেশন সনদের জন্য আবেদন করতে পারি?
- না, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত ইন-প্ল্যান্ট প্রশিক্ষণ সনদপত্র ছাড়া রেজিস্ট্রেশন সনদের জন্য আবেদন করলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।
- যে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে ইন-প্ল্যান্ট প্রশিক্ষণ নেওয়া হয়েছিল সেখান থেকে ইন-প্ল্যান্ট প্রশিক্ষণের সনদপত্রের একটি অনুলিপি সংগ্রহ করে তারপর রেজিস্ট্রেশন সনদের জন্য আবেদন করতে হবে।
২২. কিভাবে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে ফার্মাসিস্টদের রেজিস্টার সংরক্ষণ করা হয়?
- বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল এ, বি এবং সি ক্যাটাগরি অনুযায়ী ফার্মাসিস্টদের রেজিস্টার তৈরি ও সংরক্ষণ করে থাকে।
- বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল ওয়েবসাইটে ফার্মাসিস্টদের তথ্য যাচাই করার একটি প্রক্রিয়া রয়েছে যা ফার্মাসিস্টদের রেজিস্টার নিখুঁতভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে সহায়তা করে।
২৩. ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট (বি গ্রেড) হিসেবে নিবন্ধনের জন্য কে/কারা আবেদন করতে পারবেন?
- যারা বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের অধীনে ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ফার্মেসি কোর্সে উর্ত্তীণ হয়েছে তারা বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত ফি (অফেরতযোগ্য) প্রদান করে ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট (বি গ্রেড) হিসাবে নিবন্ধনের জন্য বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে অনলাইনে (www.pcb.gov.bd) আবেদন করতে পারবেন ।
- ডিপ্লোমা-ইন-ফার্মেসি সনদপত্রসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় আনুসাঙ্গিক কাগজপত্রের সত্যায়িত কপি আবশ্যক।
২৪. ফার্মেসি টেকনিশিয়ান (সি গ্রেড) হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের/নিবন্ধনের জন্য কে/কারা আবেদন করতে পারবেন?
- বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল ও বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি কর্তৃক যৌথভাবে পরিচালিত ত্রৈ-মাসিক ফার্মেসি সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন কোর্স সফলভাবে সম্পন্নের পর বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের অধীনে ফার্মেসী সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হলে ফার্মেসি টেকনিশিয়ান হিসাবে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।
- ফার্মেসি টেকনিশিয়ান (সি গ্রেড) হিসাবে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত ফি (অফেরতযোগ্য) প্রদান করা বাধ্যতামূলক।
২৫. আমি রেজিস্ট্রেশন/নিবন্ধন সনদপত্রের জন্য আবেদন করেছি। আমার সনদপত্র বিতরণের জন্য প্রস্তুত হয়েছে কিনা তা আমি কিভাবে জানতে পারব?
- বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের "হোমপেজ" এর নোটিশ বোর্ড লক্ষ্য করুন অথবা লিঙ্কে ক্লিক করুন।
- সনদপত্র বিতরণের জন্য তৈরি হলে সংশ্লিষ্ট ক্যাটাগরির আবেদনকারীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যাবে।
২৬. বিদেশী শিক্ষা বোর্ড বা সংস্থার অধীনে পরিচালিত 'এ' লেভেল' বা স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ক্ষেত্রে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট হিসেবে রেজিস্ট্রেশন/নিবন্ধনের জন্য অতিরিক্ত কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন?
- বিদেশী শিক্ষা বোর্ড বা সংস্থার অধীনে পরিচালিত 'এ' লেভেল' বা স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ক্ষেত্রে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট হিসাবে রেজিস্ট্রেশন/নিবন্ধনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে সমতাপত্র (গ্রেড কনভার্সন লেটার) এবং 'এ' লেভেল' পরীক্ষার সমতুল্য পত্র আবেদনপত্রের সাথে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে দাখিল করতে হবে।
খ (২) নিবন্ধন/ রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র নবায়ন:
১. নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্রের মেয়াদ কতদিন?
- ০৫ (পাঁচ) বছর।
২. নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র কখন নবায়ন করতে হবে?
- নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র ইস্যুর তারিখ থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত মেয়াদ থাকে।
- নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত নবায়ন ফি (অফেরতযোগ্য) প্রদান নিশ্চিত করার মধ্যমে সনদপত্র নবায়নের জন্য আবেদন করতে হবে।
৩. নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র নবায়নের প্রক্রিয়া কি?
- এ, বি এবং সি ক্যাটাগরির নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র নবায়নের জন্য অনলাইনে আবেদন
করতে হবে।
- সনদপত্র নবায়নের জন্য (এ, বি এবং সি ক্যাটাগরির) বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত ফি (অফেরতযোগ্য) প্রদান নিশ্চিত করা আবশ্যক।
- সনদপত্র নবায়নের প্রক্রিয়া বা ধাপগুলি বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে (https://www.pcb.gov.bd/) বর্ণিত রয়েছে।
- অনলাইনে সফলভাবে আবেদনের পর আবেদনকারীকে অবশ্যই আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যে মূল নিবন্ধন সনদপত্র, প্রয়োজনীয় আনুসাঙ্গিক কাগজপত্রাদি এবং অনলাইনে আবেদনপত্রের মুদ্রিত অনুলিপি (প্রিন্টেড কপি) এবং নবায়ন ফি জমার রশিদসহ (পেমেন্ট রিসিপ্ট) বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করতে হবে।
৪. নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্রের দ্বি-নকল (ডুপ্লিকেট) কখন দেওয়া হয়?
- গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট/ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট/ফার্মেসি টেকনিশিয়ানের মূল সনদপত্রটি লেমেনেটিং করলে অথবা যেকোন কারণে হারিয়ে গেলে বা পুড়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে বা কোনো কারনে বিকৃত হয়ে গেলে নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্রের দ্বি-নকল (ডুপ্লিকেট) প্রদান করা হয় । তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম মেনে আবেদন করা আবশ্যক।
- নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্রের দ্বি-নকল (ডুপ্লিকেট) পেতে হলে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত ফি (অফেরতযোগ্য) প্রদান করা আবশ্যক।
- নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্রের দ্বি-নকলের জন্য স্বশরীরে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদনের কোনো সুযোগ নাই।
নিম্নোক্ত ক্ষেত্রসমূহে নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্রের দ্বি-নকলের জন্য আবেদন করা যাবে:
- মূল সনদপত্রটি লেমিনেট করা হলে: বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত ফি (অফেরতযোগ্য) প্রদান করে দ্বি-নকল (ডুপ্লিকেট) নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে এবং পূর্বে প্রদত্ত মূল সনদপত্র বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে সমর্পণ (সারেন্ডার) করতে হবে।
- যদি মূল সনদপত্রটি হারিয়ে যায় (বা সম্পূর্ণ পুড়ে যায়): প্রথমে স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং সংবাদপত্রে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। এরপর জিডি ও সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তির মূলকপিসহ দ্বি-নকল (ডুপ্লিকেট) নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্রের জন্য বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে আবেদন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত ফি (অফেরতযোগ্য) প্রদান আবশ্যক।
- যদি মূল সনদপত্রটি আংশিকভাবে পোড়া, কোনও কারণে বিকৃত বা ছেড়া হয় (যদি সনদপত্রধারীর নাম অস্পষ্ট/আবছা হয়): প্রথমে স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। এরপর জিডি-র মূলকপিসহ দ্বি-নকল (ডুপ্লিকেট) নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্রের জন্য পিসিবি-তে আবেদন করতে হবে তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্র্তৃক নির্ধারিত (অফেরতযোগ্য) প্রদান আবশ্যক।
৬. আমি বিদেশে থাকি। আমি কীভাবে আমার নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র নবায়ন করব?
- যদি আবেদনকারী বিদেশে থাকেন সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অবস্থান করা শুধুমাত্র তাঁর (বাবা/মা অথবা স্বামী/স্ত্রী) পক্ষে সনদপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র নেওয়ার জন্য তার পক্ষ থেকে কর্তৃত্বদান পত্র (Authorization Letter) দাখিল করা আবশ্যক।
- নিম্নোক্ত লিঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ, বি এবং সি ক্যাটাগরির সনদপত্র নবায়নের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন: http://www.pcb.gov.bd
- কর্তৃত্বদান পত্রের (Authorization Letter) ফরমেটটি বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে বা নীচের লিঙ্কটিতে ক্লিক করে সরাসরি পাওয়া যাবে: https://pcb.portal.gov.bd/site/files/9c205972-6c5f-4cf4-81d9-0912e3dee36b
- অনলাইনে সফল আবেদনের পর অবশ্যই আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যে আবেদনকারী বা কর্তৃত্বপ্রাপ্ত অনুমোদিত ব্যক্তি (পিতা/মাতা বা স্বামী/স্ত্রী) মূল নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র, স্বাক্ষরিত কর্তৃত্বদান পত্র (Authorization Letter), অনলাইন আবেদনপত্রের মুদ্রিত অনুলিপি (প্রিন্টেড কপি) এবং ফি জমার রশিদসহ (পেমেন্ট রিসিপ্ট) বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করতে হবে।
৭. সনদপত্র নবায়ন করতে কতদিন সময় লাগে?
- ১৫ (পনের) দিন
৮. আমি কীভাবে নবায়ন ফি প্রদান করব?
- বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের পোর্টালে নির্দেশিত অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতি অথবা মোবাইল/অনলাইন ব্যাংকিং বা ব্যাংক ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড মাধ্যমে নবায়ন ফি প্রদান করা যাবে।
৯. আমি কি আমার নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র লেমিনেটিং করতে পারি?
- নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র লেমিনেটিং করা যাবে না।
- যদি কেউ নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র লেমিনেট করে তাহলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। তাকে অবশ্যই বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে নির্দেশিত পদ্ধতি যথাযথ ভাবে অনুসরণ করে নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্রের দ্বি-নকল (ডুপ্লিকেট) নিতে হবে।
১০. আমি বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে পার্টালে লগইন করতে আমার আইডি বা পাসওয়ার্ড ভুলে গেছি। আমি কীভাবে আমার আইডি/পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করতে পারি?
- আপনি যদি আপনার নিজের আইডিটি না জানেন/ভুলে যান; তাহলে নীচের লিঙ্কটি সরাসরি ব্যবহার করে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের ওয়েবসাইটের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ট্যাবে ক্লিক করে "লাইভ সাপোর্ট" পরিসেবা থেকে সহায়তা পেতে পারেন http://www.pcb.gov.bd/
- আপনি যদি আপনার লগইন পাসওয়ার্ড ভুলে যান তবে আপনি বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ট্যাবের লগইন প্যানেলে "পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?" (‘Forgot Password’) [https://pcbapps.com.bd/forgot/password] লিংক ব্যবহার করে আপনার পাসওয়ার্ডটি পুনরায় সেট করতে পারেন।
১১. আমি কি "লাইভ সাপোর্ট" থেকে যে কোন সময় সহায়তা পাব?
- না, "লাইভ সাপোর্ট" থেকে যে কোনো সময় সহায়তা পাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত "লাইভ সাপোর্ট" থেকে যে কোনো সময় সহায়তা পাওয়া যাবে।
- "লাইভ সাপোর্ট" থেকে সহায়তা পেতে নীচের লিঙ্কে যান: https://pcbapps.com.bd/support
১২. আমি কীভাবে আমার নিবন্ধনের/রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ পরীক্ষা করতে পারব?
- আপনি যখন বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের পোর্টালে আপনার প্রোফাইলে লগইন করবেন তখন আপনার প্রোফাইল পেজের ডানপাশে লাল রংয়ের "এক্সপায়ারী ট্র্যাকিং" নামক একটি বক্স দেখতে পাবেন।
- বক্সটি মনে করিয়ে দেবে যে নিবন্ধন নব্বই (৯০) দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
১৩. নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন নবায়নের আগে আমি কি আমার প্রোফাইল আপডেট করতে পারব?
- হ্যাঁ, নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন নবায়নের আবেদন করার আগে আপনি আপনার প্রোফাইলে প্রয়োজনীয় তথ্য আপডেট করতে পারবেন। যেমন জাতীয় পরিচয় পত্র সংযুক্ত করতে পারবেন ।
১৪. আমি আমার নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র সংগ্রহ করিনি এবং এটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, এখন কী করব?
- এই পরিস্থিতিতে নিবন্ধন/ রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র সংগ্রহ ও সনদপত্র নবায়ন করার জন্য উভয় আবেদন (অবশ্যই নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশান রশিদ আপলোড করতে হবে) একইসাথে করতে হবে।
- বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের ওয়েবসাইটের (http://www.pcb.gov.bd) অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ট্যাব ব্যবহার করে সমস্ত আবেদন অনলাইনে করা যাবে।
খ(৩): নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র সংগ্রহ:
১. আমার নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র বিতরণের জন্য তৈরি আছে কিনা তা কীভাবে জানতে পারি?
- নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র বিতরণের জন্য তৈরি হলে আবেদনকারীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের ওয়েবসাইটের (http://pcb.gov.bd/site/notices/d149bb85-ad15-42a9-bd14-17c5de480b5a) নোটিশবোর্ডে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রদর্শিত হয়।
২. আমি কখন আমার নিবন্ধন সনদপত্র সংগ্রহ করতে পারি?
- অফিস চলাকালীন সময়ে বেলা ০২:০০ টা থেকে বিকাল ৪:০০ টার মধ্যে (রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
৩. ইলেকট্রনিক সনদপত্র (ই-সনদপত্র) পাওয়ার কোনও সুযোগ আছে কি?
- না, বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল এ, বি অথবা সি ক্যাটাগরির জন্য কোন ই-সনদপত্র প্রদান করে না।
- সনদপত্র (হার্ডকপি) সংগ্রহ করার জন্য স্বশরীরে উপস্থিত হওয়া বাধ্যতামূলক।
খ (৪): অন্যান্য:
১. নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন সনদপত্রে আমার নামের বানান ভুল আছে। এখন কি করতে হবে?
- বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত ফি (অফেরতযোগ্য) প্রদানের মাধ্যমে নিজের নামের বানান সংশোধন করতে এসএসসি সনদপত্রের একটি অনুলিপি সহ দ্বি-নকল (ডুপ্লিকেট) সনদপত্রের জন্য আবেদন করতে হবে।
- দ্বি-নকল (Duplicate) সনদপত্র পেতে মূল রেজিস্ট্রেশন সনদপত্রটি বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের কাছে সমর্পণ/সারেন্ডার করতে হবে।
- আবেদনকারীকে স্ব-শরীরে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদনের কোনো সুযোগ নেই।
- কোনো অবস্থাতেই মূল সনদপত্রটি লেমিনেট করা যাবে না।
২. এ/বি/সি ক্যাটাগরি নিবন্ধন কিভাবে যাচাই করা যায়?
- এ/বি/সি ক্যাটাগরির রেজিস্ট্রেশনসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্যের জন্য বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে রেজিস্টার সংরক্ষণ করে থাকে।
- বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল ওয়েবসাইটে (http://www.pcb.gov.bd) থাকা রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্ট ইনফরমেশন ভেরিফিকেশন সিস্টেম থেকেও নিবন্ধিত ফার্মাসিস্টের তথ্য যাচাই করা যায়।
৩. নিবন্ধন/নবায়ন/ সনদপত্র সংগ্রহের অনলাইন আবেদনের সময় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কী?
- একজন আবেদনকারীকে অনলাইন আবেদনের সময় অবশ্যই নিন্মোক্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে:
- তার নামের বানান (এসএসসি সনদপত্র অনুযায়ী)
- ইমেল ঠিকানা
- মোবাইল নম্বর
গ: ফার্মেসি শিক্ষা
গ (১): বি. ফার্ম পাঠ্যক্রম
১. গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট (এ গ্রেড) হওয়ার জন্য আমাকে কী করতে হবে?
- বাংলাদেশে গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট (এ গ্রেড) হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক অভিস্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগ হতে স্নাতক (বি. ফার্ম) ডিগ্রী অর্জন করতে হবে।
২. ব্যাচেলর অব ফার্মেসি (বি. ফার্ম) পাঠ্যক্রমে মোট ক্রেডিট কত?
- ৪ বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব ফার্মেসি কোর্সের পাঠ্যক্রমটি ১৫৬ ক্রেডিট আওয়ারের চেয়ে কম নয় এবং ১৭০ ক্রেডিট আওয়ারের চেয়ে বেশি হবে না।
- ৫ বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব ফার্মেসি কোর্সের পাঠ্যক্রমটি ১৯৯ ক্রেডিট আওয়ারের চেয়ে কম নয় এবং ২১০ ক্রেডিট আওয়ারের চেয়ে বেশি হবে না।
৩. গ্রাজুয়েট ফার্মেসি (বি. ফার্ম) প্রোগ্রামের সময়কাল কত?
- বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক অভিস্বীকৃত ব্যাচেলর অব ফার্মেসি (বি. ফার্ম) প্রোগ্রামের সময়কাল ৪ বছর পূর্ণকালীন বি. ফার্ম প্রোগ্রাম এবং ৫ বছর পূর্ণকালীন বি. ফার্ম প্রফেশনাল প্রোগ্রাম।
৪. বি.ফার্ম কোর্সে প্রতি বছর কতটি সেমিস্টার রয়েছে?
- ফার্মেসি প্রোগ্রামের বি.ফার্ম কোর্সে প্রতি বছর দুটি করে সেমিস্টার (দ্বি-সেমিস্টার) রয়েছে।
৫. আমি কি অনলাইনে/দূরবর্তী শিক্ষন পদ্ধতির মাধ্যমে কোর্স/প্রোগ্রাম সম্পন্ন করতে পারি?
- না, অনলাইন/দূরবর্তী শিক্ষন বা খন্ডকালীন ফার্মেসি স্মাতক প্রোগ্রাম বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত নয়।
(সরকার ঘোষিত কোনো জরুরি অবস্থা যেমন- কোভিড-১৯ মহামারি কাল এবং বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক পূর্বানুমতি ব্যতীত অনলাইন/দূরবর্তী শিক্ষণ পদ্ধতিতে ফার্মেসি কোর্স/প্রোগ্রাম পরিচালনা করা যাবে না)
৬. ইন-প্ল্যান্ট/ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রশিক্ষণ কি ফার্মেসি পাঠ্যক্রম এর বাধ্যতামূলক অংশ?
- হ্যাঁ, চার থেকে আট সপ্তাহের ইন-প্ল্যান্ট/ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রশিক্ষণ ফার্মেসি পাঠ্যক্রমের বাধ্যতামূলক অংশ।
৭. ব্যাচেলর অব ফার্মেসি (বি. ফার্ম) ডিগ্রির কোর্সের ধরণ কিরূপ?
- সরকারী এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বার্ষিক বা সেমিস্টার (দ্বি-সেমিস্টার) উভয় পদ্ধতি বিদ্যমান রয়েছে।
- প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটটি দেখুন।
৮. শিক্ষার্থীদের ভর্তি নীতিমালা (স্টুডেন্ট এডমিশন পলিসি) কী?
- কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর অব ফার্মেসি (বি.ফার্ম) কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য এসএসসি/ও লেভেল এবং এইচএসসি/এ লেভেলে কোন কোন বিষয়/কোর্স থাকা একান্ত আবশ্যক তা নির্দিষ্ট/নিশ্চিত করে।
এই নীতিমালা অনুসারে:
- প্রার্থীকে এসএসসি/ও লেভেল বা স্বীকৃত সমমানের এবং এইচএসসি/এ লেভেল বা স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় নূন্যতম মোট জিপিএ ৬.৫০ (মোট ১০ এর মানদন্ডে) পেতে হবে।
- প্রার্থীকে অবশ্যই এসএসসি/ও লেভেল বা স্বীকৃত সমমানের এবং এইচএসসি/এ লেভেল বা স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে হতে পাস করতে হবে এবং অতিরিক্ত বিষয় (৪র্থ বিষয়) ছাড়াই ন্যূনতম জিপিএ ৩.০ (৫ এর মানদন্ডে) পেতে হবে।
- প্রার্থীকে এইচএসসি/এ লেভেল বা স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় রসায়ন ও জীববিজ্ঞানে পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০ এবং গণিতে ন্যূনতম জিপিএ ২.০ (৫ এর মানদন্ডে) পেয়ে পাস করতে হবে।
- প্রার্থীকে এইচএসসি/এ লেভেল বা স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় চলতি বছরে বা এর পূর্বের বছরে পাস করতে হবে।
- প্রার্থীকে এইচএসসি/এ লেভেল বা স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান এবং গণিতসহ পাস করতে হবে।
- কোনো প্রার্থীর এইচএসসি/এ লেভেলে গণিত না থাকলে এবং সে বি.ফার্ম প্রোগ্রামে ভর্তি হতে চাইলে তাকে বি.ফার্ম পাঠ্যক্রমের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক গণিত বিষয়ে ৩ (তিন) ক্রেডিটের অতিরিক্ত একটি কোর্স সম্পন্ন করতে হবে।
৯. শিক্ষার্থীদের ভর্তি নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ কেন?
- শিক্ষার্থীদের ভর্তির নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বি. ফার্ম প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য পূর্বশর্তসমূহ যেমন, প্রার্থীর প্রাক যোগ্যতা কেমন হবে অথবা কোন কোন কোর্স থাকা আবশ্যক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা নির্দিষ্ট/নির্ধারণ করে। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি নীতিমালা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
১০. শিক্ষার্থীর তালিকাভুক্তি (স্টুডেন্ট এনরোলমেন্ট) কার্ড কী?
- একজন শিক্ষার্থীর ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক বি.ফার্ম এবং ডিপ্লোমা-ইন-ফার্মেসি কোর্সে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীকে যে কার্ড প্রদান করা হয় সেটিকেই শিক্ষার্থী তালিকাভুক্তি (স্টুডেন্ট এনরোলমেন্ট) কার্ড বলা হয়।
১১. শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষার্থী তালিকাভুক্তির (স্টুডেন্ট এনরোলমেন্ট) ডিজিটাল কার্ড দেওয়া হয় কি?
- হ্যাঁ, বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল শিক্ষার্থী তালিকাভুক্তি ডিজিটাল কার্ড সরবরাহ করে।
১২. ফার্মাসিষ্টদের কর্মক্ষেত্র?
- ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, কমিউনিটি ফার্মেসি, হাসপাতাল, উপশম কেন্দ্র, জনস্বাস্থ্য, সশস্ত্র বাহিনী, সরকারী চাকুরীসহ আরও অনেক ক্ষেত্রে ফার্মাসিস্টদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
১৩. ফার্মাসিস্টদের কর্মক্ষেত্র কোথায়?
ফার্মাসিস্টদের কর্মক্ষেত্র হচ্ছে:
- ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি
- ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ও ওষুধ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান
- নিয়ন্ত্রক সংস্থা (Regulatory Body)
- ওষুধ সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং বিতরণ
- ওষুধের তথ্য প্রদানে
- মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাগার
- কমিউনিটি এবং হাসপাতালের ফার্মেসিতে
- একাডেমিক কার্যক্রম
- প্রশিক্ষক
- গবেষণা
- স্বাস্থ্যসেবা সেবায় নিয়োজত টিম
- আন্তর্জাতিক সংস্থা
গ (২) ব্যাচেলর অব ফার্মেসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশের সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অনুমোদিত আসন সংখ্যা:
১. বাংলাদেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ফার্মেসি বিভাগে ব্যাচেলর অব ফার্মেসি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদিত আসন সংখ্যা কত?
- বাংলাদেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ফার্মেসি বিভাগে ব্যাচেলর অব ফার্মেসি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অনুমোদিত আসন সংখ্যা নিম্নরূপ: http://pcb.gov.bd/site/page/a367ec50-2aa0-4834-a59b-301ca76270f0
২. বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ফার্মেসি বিভাগে ব্যাচেলর অব ফার্মেসি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদিত আসন সংখ্যা কত?
- বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ফার্মেসি বিভাগে ব্যাচেলর অব ফার্মেসি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অনুমোদিত আসন সংখ্যা নিম্নরূপ: http://pcb.gov.bd/site/page/5f60b694-6631-45d5-a485-b0dbdd185847
গ (৩) ডিপ্লোমা-ইন-ফার্মেসি পাঠ্যক্রম
১. একজন শিক্ষার্থী কখন ডিপ্লোমা-ইন-ফার্মেসি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবে?
- এসএসসি বা স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানসহ বিজ্ঞান বিভাগ হতে উর্ত্তীণ একজন শিক্ষার্থী ডিপ্লোমা-ইন-ফার্মেসি প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবে।
২. কয়টি প্রতিষ্ঠান ডিপ্লোমা-ইন-ফার্মেসি প্রোগ্রাম প্রদান করে?
- বাংলাদেশে, বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক অভিস্বীকৃত/অনুমোদিত ১২টি সরকারি এবং ৪১টি বেসরকারী ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (IHT) রয়েছে যেগুলো ০৪ (চার) বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ফার্মেসি কোর্স পরিচালনা করে থাকে। প্রতিষ্ঠানগুলির নাম বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে অথবা নীচের লিঙ্কটিতে ক্লিক করে পাওয়া যাবে https://pcb.portal.gov.bd/site/page/360ca7ac-4cf0-4449-bd63-5c08ec77e63d
৩. ডিপ্লোমা-ইন-ফার্মেসি কোর্সের পাঠ্যক্রম কি?
- ডিপ্লোমা-ইন-ফার্মেসি কোর্সের পাঠ্যক্রমটি বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে অথবা নীচের লিঙ্কটিতে ক্লিক করে পাওয়া যাবে http://www.pcb.gov.bd/site/download/564705f9-708b-42d9-96d5-d0d647885717
৪. ডিপ্লোমা-ইন-ফার্মেসি কোর্সর মেয়াদকাল?
- চার (০৪) বছর।
৫. ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টের কর্মক্ষেত্রগুলো কি?
- ডিপ্লোমা-ইন-ফার্মেসি কোর্স উর্ত্তীণ হওয়ার পর বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক বি ক্যাটাগরিতে নিবন্ধিত হয়ে নিম্মোক্ত কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত হতে পারে:
- সরকারী এবং বেসরকারী হাসপাতালে
- মডেল ফার্মেসি এবং মডেল মেডিসিন শপে
- ক্লিনিক, এনজিও, কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে
৬. ডিপ্লোমা-ইন-ফার্মেসি কোর্সের ইন্টার্নশিপ দরকার আছে কি?
- ডিপ্লোমা-ইন-ফার্মেসি কোর্সটি শেষ করার জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই বাধ্যতামূলকভাবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছয় মাসের ইন্টার্নশিপ করতে হবে।
ঘ. ফার্মাসিস্টের নৈতিকতার নীতিমালা (ফার্মাসিস্ট কোড অব ইথিকস)
১. ফার্মাসিস্টের নৈতিকতার নীতিমালা (ফার্মাসিস্ট কোড অব ইথিকস) কী?
- ফার্মাসিস্টের নৈতিকতার নীতিমালা (ফার্মাসিস্ট কোড অব ইথিকস) এর জন্য বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল এর ওয়েবসাইটে অথবা নীচের লিঙ্কটিতে ক্লিক করে দেখুন: http://pcb.portal.gov.bd/site/download/77252b13-462d-4d35-a796-0a8911b9b878
ঙ. ফার্মেসি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিস্বীকৃতি জন্য নির্দেশনাবলী
১. ফার্মেসি শিক্ষা পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অভিস্বীকৃতি দেয়ার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা কে?
- ফার্মেসি শিক্ষা পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অভিস্বীকৃতি দেয়ার জন্য একমাত্র নিয়ন্ত্রক সংস্থা হল বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল।
২. কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিস্বীকৃতির পর্যায়ক্রমিক ধাপগুলো কি কি?
- বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে (http://www.pcb.gov.bd) অভিস্বীকৃতি নির্দেশিকায় পর্যায়ক্রমিক ধাপগুলো বর্ণিত আছে।
চ. প্রশিক্ষণ
১. বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কি ফার্মেসি টেকনিশিয়ানদের (সি ক্যাটাগরি) জন্য কোনো প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করে থাকে?
- হ্যাঁ, বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল ও বাংলাদেশ কেমিস্টস এবং ড্রাগিস্টস সমিতি যৌথভাবে মডেল মেডিসিন শপ স্থাপন/প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার বিষয়ে ফার্মেসি টেকনিশিয়ানদের (সি ক্যাটাগরি) জন্য ফার্মেসি সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন কোর্স নামে ০৩ মাস ব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
২. এ ক্যাটাগরির ফার্মাসিস্টদের জন্য বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক আয়োজিত প্রশিক্ষণ কোর্সটি কি?
- বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল এ ক্যাটাগরির ফার্মাসিস্টদের জন্য মডেল ফার্মেসি স্থাপন/প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার বিষয়ে ৩০ ঘন্টার একটি প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করে থাকে।